দুধারে তুষার শুভ্র পাহাড় আর পাইন গাছের সারি,
সাদা চাদরে ঢাকা রাস্তার মাঝে ছুটে চলেছে গাড়ি
আর পাশাপাশি পেঁজা তুলোয় মোড়া ছোটো ছোটো বাড়ি,
কুয়াশা এখন, অচেতন মন আজ কাজের সাথে আড়ি.
কিছুটা পেরোলো পথ, এখন দুপাশে উইন্ডমিলের সারি,
দোদুল্যমান নিজের ছন্দে, পাখিরা দিচ্ছে দূরে পারি
তুষার কোনা হিমশীতল হাওয়া আর বরফে ঢাকা নদী,
রাস্তা হচ্ছে ক্রমশ খাড়া, গাড়ির wheel ও বাড়াচ্ছে তার গতি.
আর আনমনা আমি লাগিয়েছি শঙ্খচিলের ডানা আমার পিঠে,
বেপরোয়া মন, এই স্বর্গীয় সৌন্দর্য দেখে থাকছে না আর সিট এ.
আরো কিছুটা যেতেই এবার শুধু চারিদিকে শুভ্র সমারোহ,
উইন্ডস্ক্রিন এ রুপোলি জলকণা রা খেলা করছে অবিরত.
কাটাগাছ গুলি খুব সিরিয়াস, বরফ লুফেছে সহস্র হাত দিয়ে,
এবার ঢুকছি একটু শহরতলিতে, ইউরোপিয়ান স্থাপত্যের ভিড়ে.
শহর পেরিয়ে এখন সরু আঁকাবাঁকা পথে ব্রিজ এ চড়ছে গাড়ি,
চালক ও কিন্তু বেশ cautious, মোটেই নয় আনাড়ি.
ঢুকছি এবার স্ট্রাসবুর্গ এ, অবশেষে কিছুটা পেলাম দেখা সবুজের,
এখানে চলছে বর্ষণ ভারী, ছুটছে থ্যালিস প্যারিস এর.
অবশেষে সূয্যি ডুবেছে, সন্ধ্যা নেমেছে ফ্রেইবার্গ পেরিয়ে,
বাস ছুটছে গতিতে, ব্যাসেল হয়ে যাবে গন্ত্যবের দিকে.
এবারে আমার ভ্রমণ লেখনীর এখানেই করি অন্ত,
ভীষণ ঠান্ডা, কাঁপছি আমি, reached to my গন্তব্য..
বাহ্!!
ReplyDelete"বরফ লুফেছে সহস্র হাত দিয়ে"
চমৎকার!